দাবীপূরণে আদিবাসীদের আন্দোলন চাক্কা জ‍্যাম

31st January 2021 8:22 pm বাঁকুড়া
দাবীপূরণে আদিবাসীদের আন্দোলন চাক্কা জ‍্যাম


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  আদিবাসিরা হিন্দু নয় আদিবাসিরা মুসলমান নয় তারা খ্রিষ্টানও নয় ২০২১ সালের জন গণনায় আদিবাসিদের প্রকৃতি পূজা ধর্ম সরনা ধর্ম কোড লাগুর দাবিতে রেল রোড চাকা জ্যেম বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করল  আদিবাসি সেঁঈল অভিযান বাঁকুড়া জেলা কমিটি।

এই দিন দুপুর ১২ টা থেকেই ঝান্টিপাহাড়ি স্টেশন চত্বরে বাকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের প্রায় ৫০০ আদিবাসি সাধারন মানুষ জমায়েত হন। এর ফলেই আদরা  ডিভিশনের রেল পরিষেবা কয়েক ঘন্টা ব্যাহত হয়।  আদিবাসি দের দাবি সুরনা ধর্মকের পৃথক কলম -কোড লাগু করতে হবে এছাড়া ঝাড়খন্ডের  প্রথম রাজ ভাষা হিসেবে সঁন্তালি ভাষাকে মান্যতা দিতে হবে।

এই দিন  আদিবাসি সেঁঈল অভিযান এর বাঁকুড়া জেলা কমিটির  নেতা ধনেশ্বর  হাঁসদা বলেন  সংবিধানের ৩৪২ ধারা অনুযায়ী আমরা আদিবাসি আজ পর্যন্ত আমাদের  সারনা ধর্মের সাংবিধানিকে মান্যতা দেওয়া হয় নি। তাই ২০২১ জনগননা বর্ষে আদিবাসিদের সারন ধর্মের যাতে পৃথক কলাম কোড হয় তারেই দাবিতে আমরা  বাংলা, বিহার, অসম, উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ড এর পাঁচ রাজ্যে রেল রোড চাকা যাম কর্মসুচিতে আমরা নিমেছি। এর আগে আমরা পাঁচ রাজ্যে রেল রোড চাকা যাম  করেছি। আমরা জেলা শাষকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি কিন্তু কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এখন আমাদের সরকারি ভাবে কিছু জানান হয় নি।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।